অবসরে ‘ধানমন্ডি লেক’
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে আমরা যখন হাঁপিয়ে উঠি তখন আমাদের শরীর ও মন চায় একটু নির্মল আনন্দ, নতুন কোনো পরিবেশ। তাইতো সময় সুযোগ হলেই আমরা ছুটে চলি নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
ধানমন্ডি লেক তাদের অন্যতম একটি।এ লেকের কোল ঘেষেই উন্মুক্ত মঞ্চ, রবীন্দ্র সরোবর। সাথে দৃষ্টিনন্দন এক সেতু, যেন এপার ওপারের জনস্রোত যোগ করেছে। কী ফুসকা, কী চটপটি, নাকি মুড়ি মাখা, চিড়া ভাজা, অথবা ধোঁয়া ওঠা কাবাব, নয়তো প্রশান্তির এক গ্লাস শরবত! শুনেই যেন আড্ডার কথা মনে পড়ে। আর কোনো এক বিকেলে যদি হাজির হোন এখানটায়, আপনারও মুগ্ধতায় কেটে যাবে অনেকটা সময়। আসতে পারেন প্রিয়জনকে নিয়ে, উপভোগ্য হবে সময়টা।
ধানমন্ডি লেক নগরবাসীর জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তির ঠিকানা, তাতে সন্দেহ নেই, লেকের একপাশের জায়গাগুলো সেজেছে নতুন রূপে।ডিঙ্গি, রেস্তোরাঁ! সেই সাথে ঘাট ধরে নৌকা সারি সারি, একটায় চেপে বসতে পারেন, কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ জলে আপনার ঘুরে বেড়ানো আনন্দময়ই হবে।
মূলমঞ্চে প্রায়ই থাকে উৎসব, কবিতা বা গানের আসর। সরোবরের চারপাশের মঞ্চজুড়েই কবিতা শুনতে আসা মানুষের ভিড়। আসন না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে থেকেই শুনছেন কবির ভরাট কণ্ঠের কবিতা আবৃত্তি। নিমজ্জিত হয়েছেন শব্দের পরে শব্দ দিয়ে গাঁথা অনন্য সুন্দর সব কাব্যের নান্দনিক শব্দমালার স্ফূরণে।
এ ছাড়া, শিশুদের জন্যও জায়গাটি বেশ খোলামেলা। এখানে এসে প্রাণভরে খেলতে পারে শিশুরা। চাইলে ঘাস আর মাটিতে এক শান্তির পরশও নিতে পারেন।
ধানমন্ডি লেক এখন ঢাকার দর্শণীয় স্থানগুলোর একটি। ১৯৯৫ সালে সংস্কার করে লেকটিকে নতুন রূপ দেয়া হয়।
তবে ধানমন্ডি লেকটির নির্দিষ্ট কোন খোলা ও বন্ধের সময়সূচী নেই, তবে ভোর ৫.০০টা থেকে রাত ১০.০০টা পর্যন্ত দর্শনার্থী অবস্থান করতে পারবেন। লেকটিতে প্রবেশের জন্য কোন টিকেটের প্রয়োজন হয় না। ছুটির দিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্মল বাতাসে, সবুজের স্পর্শে ঘুরে আসতে পারেন ধানমন্ডি লেক থেকে।